বন্ধুরা, এই আর্টিকেল টি হলো – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা (আমাদের মুক্তিযুদ্ধ) সম্পর্কে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ভূমিকা: স্বাধীনতা মানুষের আজন্ম লালিত স্বপ্ন । স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হওয়ার মধ্যে যেমন গৌৱৰ থাকে তেমনি পরাধীনতায় থাকে গ্লানি । আর তাই পরাধীন হয়ে কেউ বাঁচতে চায় না । তেমনি বাঙালি জাতিও চায়নি বছরের পর বছর পাকিস্তানিদের দাস হয়ে থাকতে । তাই তারা শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে , অবতীর্ণ হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে । অবশেষে লাখাে প্রাণের বিনিময়ে তারা ছিনিয়ে এনেছে প্রিয় স্বাধীনতাকে । ফলে জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক , সামরিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যে জর্জরিত করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানকে । শুধু তাই নয় , বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে তারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায় । সংগত কারণেই বাঙালিরা এর তীব্র প্রতিবাদ করে ।
পরবর্তীতে ১৯৭০ এর নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পশ্চিমা শাসকগােষ্ঠী কোনােভাবেই বাঙালির হাতে শাসনভার তুলে দিতে চায়নি । এমন বৈষম্য এবং নিপীড়নের কারণে মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে ।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ: বাঙালি জাতির রাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয়তাবাদের সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই । মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করার ঘােষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন । এই ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ।
ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর এই আঘাতের পরই বাঙালি বুঝতে পারে তাদের স্বাতন্ত্র্যকে । তারা বাঙালি জাতি এই পরিচয় তাদের মধ্যে দৃঢ় হতে শুরু করে । জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এসময় গঠিত হয় বেশ কিছু সংগঠন । ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন , ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন , ১৯৬৬ এরর ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি , ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান , ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিপুল ভােটে ১৬৭ টি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় , এই প্রত্যেকটি ঘটনার মাধ্যমে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটে এবং ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই জাতীয়তাবাদ চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে ।
স্বাধীনতার ডাক: ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মুখে নিপীড়নকারী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী আগরতলা মামলার প্রধান আসামি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে বাঙালির প্রাণের দাবি ৬ দফা উত্থাপন করেছিলেন , ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তিনি রচনা করলেন অনন্য এক ইতিহাস ।
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তিনি ১০ লক্ষেরও বেশি স্বাধীনতাকামী মানুষের সামনে বত্র কষ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দেন । তাঁর সে বক্তব্যেই স্বাধীনতার বীজ লুক্কায়িত ছিল ।
২৫ এ মার্চের কালরাত্রি এবং স্বাধীনতার ঘােষণা : ১৯৭০ – এর নির্বাচনে বিপুল ভােটে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও পাজ্ঞিনি শাসকগােষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা শুরু করে । এরই মধ্যে ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে গােপনে পূর্ব পাকিস্তানে আসতে থাকে অস্ত্র আর সামরিক বাহিনী । এরপর পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নয় , মাটি চাই বলে হানাদার বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করে ঢাকা ত্যাগ করে পৃথিবীর অন্যতম জঘন্য গণহত্যার হােতা ইয়াহিয়া খান ।
শুরু হয় ইতিহাসের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ , যা অপারেশন সার্চ লাইট নামে পরিচিত । ১৯৭১ সালের ২৫ এ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর । তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় পিলখানা , রাজারবাগ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মধ্যরাতের পর হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । গ্রেফতারের পূর্বেই অর্থাৎ ২৬ এ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন । তার স্বাক্ষরিত ঘােষণার্তাটি তৎকালীন ইপিআর – এর ট্রান্সমিটারের সাহায্যে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয় ।
এরপর চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ এ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নামে প্রচারিত হয় স্বাধীনতার ঘােষণা । সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রাম ।
মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধ ৪ এপ্রিল , ১৯৭১ সিলেটের তেলিয়াপাড়ার চা বাগানে কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ গঠন করা হয় । ৯ এপ্রিল মুক্তিফৌজের নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী এবং কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীকে এই ৰাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে নিয়ােগ দেওয়া হয় । মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরাে দেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাণ করা অয় । জুন মাসের শেষের দিকে গেরিলারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে । আগস্টে গঠিত নৌ কমান্ডাে বীরত্ব ও কৃতিত্বের সাথে যুদ্ধ শুরু করে । ৩ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাঙালিদের সাথে ভারতীয় সেনারাও যােগ দেয় ।
মুজিবনগর সরকার গঠন: ১০ এপ্রিল ১৯৭১ কুষ্টিয়ার বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা ইউনিয়নের ভবের পাড়া গ্রামের আমকাননে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয় । এই জায়গার নতুন নামকরণ করা হয় মুজিবনগর । তাই এই সরকারকে বলা হয় মুজিবনগর সরকার ।
সেসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে , রাষ্ট্রপতি শাসিত এই সরকার ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে । এই দিনই স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র গৃহীত হয় । পরবর্তীতে এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হতে থাকে ।
মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবীদের ভূমিকা: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালানাের পর বাঙালি ছাত্র , তানতা , পুলিশ , ইপিআরসহ সর্বস্তরের মানুষ সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে । দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযােদ্ধা রণাঙ্গনে শহিদ হন , আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন । তাই মুক্তিযােদ্ধাদের এ ঋণ কোনােদিন শােধ হবে না । এদেশের মানুষ চিরকাল জাতির এই সূর্য সন্তানদের মনে রাখবে । মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ । তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল , ছাত্র , পেশাজীবী , সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ভূমিকা নেয় ।
মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলাের ভূমিকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দল হলাে আওয়ামী লীগ । আওয়ামী লীগই সর্বপ্রথম পূর্ববাংলার জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে । বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়েই এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে । বস্তুত , তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে- ন্যাপ ( ভাসানী ) , ন্যাপ ( মােজাফফর ) , কমিউনিস্ট পার্টি , জাতীয় কংগ্রেস ইত্যাদি ।
তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকবাহিনীর সমর্থনে মুসলিম লীগ , জামায়াতে ইসলামী , পিডিপিসহ কতিপয় বিপথগামী রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের বিরােধিতা করে ।
মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম এবং শিল্পী – সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযােদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতে এবং জনমত গঠনে দেশ – বিদেশ থেকে অসংখ্য পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল , মুজিবনগর সরকার ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা , ধর্ষণ , ধ্বংসলীলা , সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ , শরণার্থী শিবিরের বর্ণনা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে । এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী সাহিত্যিক – বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ও অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয় ।
মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব: ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানিদের বর্বরােচিত হত্যাকাণ্ডের কাহিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়ায় । ভারত সে সময় এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় । ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে বিশ্বজনমত তৈরিতে এগিয়ে এসেছিলেন ।
সােভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেয় । তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের বিরােধিতা করলেও সে দেশের জনগণ , বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে সমর্থন দেয় ।
মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনী: ১৯৭১ সালে যুদ্ধের প্রায় শেষদিকে ২১ নভেম্বর ভারতীয় পূর্বাঞ্চল কমান্ডার লে . জে . জগজিৎ সিং অরােরার অধিনায়কত্বে ঘােষিত হয় বাংলাদেশ – ভারত যৌথ কমান্ডাে । ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী মিত্রবাহিনী নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে । বাংলাদেশের মুক্তিযােদ্ধাদের সাথে যুক্ত হওয়া ভারতীয় বিমান হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ।
মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি ও যৌথবাহিনীর দুর্বার প্রতিরােধ ও আক্রমণের মুখে পশ্চিমা হানাদার হিনী যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল , তখন পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের সূর্যসন্তানদের ওপর । আর এ কাজে তাদেরকে সাহায্য করে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার , আলবদর , আল শামস বাহিনী । দেশের মুক্তিকামী ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী শিক্ষক , চিকিৎসক , প্রকৌশলী , সাংবাদিক , বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় । তাদের বেশিরভাগের ক্ষত – বিক্ষত মৃতদেহ রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় । পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর
আত্মসমর্পণ এবং বাঙালির বিজয়: সংগ্রামী বাঙালি আর মিত্র বাহিনীর সাথে যুদ্ধে হানাদার বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে যৌথ বাহিনীর প্রধান শ্যাম মানেকশ পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজিকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন । ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্থাৎ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ৯৩০০০ সৈন্য নিয়ে জেনারেল নিয়াজি সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরােরার নিকট আত্মসমর্পণ করেন । এসময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে খন্দকার । এর মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের ।
উপসংহার: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা । এর মাধ্যমে অবসান হয়েছিল দীর্ঘ সময়ের শােষণ ও নিপীড়নের । কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পার হওয়া সত্ত্বেও এখনাে আমরা গড়তে পারিনি । আমাদের স্বপ্নের সােনার বাংলাদেশ । আমাদের যেমন সংকট আছে , তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে । সব সংকটকে দূরে সরিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে । নিজের কর্তব্যবােধ , দেশপ্রেম আর প্রচেষ্টার দ্বারাই সে সপ একদিন বাস্তবায়িত হবে ।
আশা করি আপনাদের রচনা টি ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এটি আমি আমার প্রতিযোগিতায় দেব আশা করি কিছু একটা হব
কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Hey tumi kon school ar???
Ata to ami amar competition a debo
But you!
Ata to ami amar comprtition a debo
Thanks bro